লালমাইয়ে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি ভাংচুর ও যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা! গ্রেপ্তার এক!

 

লালমাই প্রতিনিধি :
গত ২৬ তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ৪নং ভূলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক কাজী মাসুদ রানার বাড়ি ভাংচুর করে, এতে আলমারি ভেঙ্গে নগদ ২,৭০,০০০ টাকা ও একটি ল্যাপটপ সহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানিয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
তাছাড়া বাড়ি লুটপাট করার সময় বাধা দিলে আমুয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গোলাপ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেনকে রট দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে।

জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ পরিকল্পনা করে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি করা হয়।
তাছাড়া সন্ত্রাসীর সকলে জামাত বিএনপির সদস্য বলেও জানান এলাকাবাসি। স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, আমুয়া পূর্বপাড়া মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করি, এতে সাইফুল, শামীম কাউকে আমরা কোন দায়িত্ব দেইনি। তবে, তারা নিরবে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য দল গঠন করে, যাহা কিনা এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে তা এখন প্রমাণিত।

২৯ তারিখ বিকালবেলা আমুয়া পূর্বপাড়া মসজিদের ইমাম সাহেব মসজিদ ঝাড়ু দিতে গেলে দেশিয় অস্ত্র দামা ও লাঠি ধানের বস্তার নিচে দেখলে সাথে সাথে মসজিদ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানকে খবর দেয়, পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার ঘটনার স্থলে গিয়ে পুলিশকে ব্যাপারটা জানালে, পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে অস্ত্র উদ্ধার করে নেয়।

শামীম, সাইফুলের সহপাঠি নয়ন জানায়, ঘটনার ৫ দিন আগে থেকে শামীম, সাইফুলের নির্দেশে আমুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে এমদাদ লাঠি বানিয়ে দেশিয় অস্ত্র সহ মসজিদে রেখে দেয়। যার একমাত্র কারন হলো আওয়ামীলীগের যে কেউ ঐ দিকে যাবে তাদেরকে আক্রমন করবে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ তারিখে লালমাই থানায় মামলা (নং ০৫) করা হয় এবং ৩০ তারিখ মামলার ৪ নং আসামীকে গ্রেফতার করেন লালমাই থানা পুলিশ। মামলার বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান রাজনৈতিক মহল ও এলাকার সমাজ প্রতিনিধিরা।

     আরো পড়ুনঃ

পুরাতন খবর:

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১